ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সৌদির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেন মেনন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১১ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই চুক্তি সংবিধানের ২৫ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এমপিরা। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তার বক্তব্যের সমর্থন করে কথা বলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।

বিবিসির সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, গত পরশু বিবিসি সংবাদ দিয়েছে যে সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা। আমরা জানতে পেরেছি চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ার পর্যায়ে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করে নাই। ওই সমঝোতা চুক্তির আওতায় ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১৮০০ সেনা নিয়োগ দেয়ার কথা। সৌদি আরবে ইসলামী সেনাবাহিনী কাউন্টার টেরোরিজম কমিশন (আইএমসিটিসি) বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নামও দেয়া হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যখন সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগে বাংলাদেশ নাম লিখেছিল তখনই আমরা বলেছিলাম আমাদের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে তার চুলছেড়া বিশ্লেষণ জরুরি। খটকা ছিল তখনই এবং সেই সময় সৌদি আরব যেটাকে ৩৪ জাতি সামরিক জোন বলেছিল। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইনিয়ে-বিনিয়ে তখন বলেছিল এটা একটি সন্ত্রাসবিরোধী সম্মিলিত উদ্যোগ। সেই সময় জনগণের সেই উদ্যোগ এবং আশঙ্কাকে নিরসন করে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে সৌদি আরবে যে দুটি মসজিদ রয়েছে মক্কা এবং মদিনায় হেরেম শরিফ, এই মসজিদ দুটি যদি আক্রমণের মুখে পড়ে তখনই কেবল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাঠাবে এর বাইরে কখনো কোনো সেনাবাহিনী পাঠাবে না। আমরা আশস্ত হয়েছিলাম কিন্তু এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদিও স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। কিন্তু আমরা জেনেছি এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ার পর্যায়ে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই চুক্তির মধ্যদিয়ে আমাদের সংবিধানের ২৫ বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না সেটা অবশ্যই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাই আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ৩০০ বিধিতে একটি বিবৃতি দাবি করছি। পাশাপাশি স্পিকার (আপনিও) বিষয়টি সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না আপনার কাছ থেকে রুলিং আশা করছি।

ফখরুল ইমাম বলেন, সংসদ রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক অঙ্গ। সংবিধানের ১৪৫ (ক) বলা আছে কোনো বৈদেশিক চুক্তি হলে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন এবং রাষ্ট্রপতি সেটা সংসদে দেবেন। এটা আলোচনা করলে কী অসুবিধা ছিল? আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালও এখানে ছিলেন, উনি জানতেন এই চুক্তিটা হবে। উনি আমাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করে কি না এটা আমার প্রশ্ন।

তিনি বলেন, আমাদের না জানিয়ে, সংসদকে পাশ কাটিয়ে আজকে যদি সেশন না থাকত তাহলে বুঝতাম যে পার্লামেন্টকে অবজ্ঞা করেন নাই। আমার মনে হচ্ছে সংসদকে অবজ্ঞা করে, পাশ কাটিয়ে সংসদকে মূল্যহীন ভেবে এই জিনিসিগুলো করা হয়েছে। এটা সরকারের জন্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে?

এইচএস/বিএ

আরও পড়ুন