ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মাওলানা ফারুকী হত্যাকাণ্ড : এক বছরেও ‘ক্লুলেস’ পুলিশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৫

ইসলামী ফ্রন্ট নেতা ও চ্যানেল আইয়ের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো সরাসরি অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সংস্থা। আজ এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হলেও এখনো ‘ক্লুলেস’ পুলিশ।

গত বছরের ২৭ আগস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় মাওলানা ফারুকীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়েরের পর তদন্তের দায়ভার দেয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে।

হত্যাকাণ্ডের এক বছরেও আসামিদের ‘শনাক্তকরণ’ এর কাজটিই শেষ করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় ফারুকীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি দেয়া দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার দিন সর্বশেষ যে নারী ফারুকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় ডিবি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কারো সংশ্লিষ্টতাই পাওয়া যায়নি।

ডিবি উত্তরের একটি দল এই মামলাটির তদন্ত করলেও পরবর্তীতে পশ্চিম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবি পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে হত্যাকারীরা। অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করে তদন্তের দায়িত্বভার সিআইডিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

ফারুকী হত্যার ঘটনায় এপর্যন্ত প্রায় সাত হাজার মোবাইল নম্বর যাচাই-বাছাই করে বেশ কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রাখে ডিবি পুলিশ। তবে তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থান এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খুনিরা ছিল পেশাদার ও প্রশিক্ষিত। ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডের আলামত না রাখার সব ধরনের চেষ্টা করেছে। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তদন্তের গতি প্রসঙ্গে ফারুকীর বড় ছেলে আহমেদ রেজা ফারুকী জাগো নিউজকে বলেন, মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে হয়েছে সে ব্যাপারেও আমাদের কিছু জানানো হয় না। আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমাদের শুধুই আশ্বস্ত করা হয় তবে অগ্রগতি দেখা যায় না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্রসেনার পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছিল। আসামিরা বাবাকে (ফারুকী) পিষে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তবে তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।

মামলার এক পর্যায়ে ফারুকীর পরিবার উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে পুলিশ এর আগেই আদালত থেকে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেয় বলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা।

এআর/বিএ