‘হজ এজেন্সি অপরাধ করলে কী ব্যবস্থা, এখনই বলব না’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, চলতি বছর হজ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কোনো এজেন্সিকে অপরাধ করার সুযোগই দেবে না ধর্ম মন্ত্রণালয়। এজেন্সিগুলো যেন অপরাধে জড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরপরও কোনো এজেন্সি যদি অপরাধ করে তাহলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করব, তা এখন বলব না, ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর বলব।
আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা (সংশোধিত- ১৪৪০/২০১৯) অনুমোদন ও প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ প্যাকেজ-১ ও হজ প্যাকেজ-২ ঘোষণার পর কিছু গণমাধ্যমে চলতি বছর হজ প্যাকেজে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়, যা মোটেই সত্যি নয়।
শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র দাবি, হজ প্যাকেজে খরচ বাড়েনি। সৌদি সরকার কর্তৃপক্ষ করারোপসহ বিভিন্ন ব্যয় বৃদ্ধি করলেও সে তুলনায় খরচ বাড়েনি বরং কমেছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতবার (২০১৮) প্যাকেজ-১ ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। গতকাল (১১ ফেব্রুয়ারি) প্যাকেজ-১ এ ঘোষণা করা হয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫১৬ টাকা। এ বছর বেড়েছে ২০ হাজার ৫৭১ টাকা। এ বছর হজযাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। সৌদি আরবের কর বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৯৮১ টাকা। সে হিসেবে এ বছর প্যাকেজ -১ প্রস্তাব করা হয়েছিল ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১০ টাকা। প্রকৃত হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৪ হাজার ৪১০ টাকা কম ব্যয় ধরা হয়েছে।’
‘একইভাবে প্যাকেজ-১-এ গত বছর ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা, এবার ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সৌদি সরকার এ প্যাকেজে ১২ হাজার টাকা বৃদ্ধি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত বিমান ভাড়া ২০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। সে হিসাবে প্যাকেজ হওয়ার কথা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু গতকাল প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে ব্যয় কমানো হয়েছে ২৬ হাজার ৩৯৫ টাকা।’
শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এ বছর বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের বিমান ভাড়ার চেয়ে যাত্রী প্রতি ১০ হাজার ১৯১ টাকা কমানো হয়েছে।
হজ কোনো রাজনৈতিক দলের বিষয় নয় মন্তব্য করে হজ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ পুণ্যের কাজ, সওয়াবের কাজ। আল্লাহ ও তার রাসুলকে খুশি করার কাজ। আল্লাহর ঘরের মেহমানদের খেদমতের কাজ। এ ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব কিংবা মন্দ চিন্তা করার সুযোগ নেই।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সর্বদা সচেতন রয়েছেন। তিনি এবার অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভালো হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী হাজিরা যেন নিশ্চিন্তে হজ পালন করতে পারেন সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে’,- বলেন তিনি।
এমইউ/জেডএ/এমএস