রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গুরুত্বারোপ জাপানের
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বেগবান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাপান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কুষ্ঠ নির্মূল বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত ও মিয়ানমারে জাতীয় মীমাংসা বিষয়ক জাপান সরকারের বিশেষ দূত ইওহেই সাসাকাওয়া বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু একটি জটিল পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে।’
ইওহেই সাসাকাওয়া রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বর্তমানে কিছুটা স্থবির অবস্থায় রয়েছে। এটিকে অবশ্যই বেগবান করতে হবে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন ইওহেই সাসাকাওয়া।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখব।’
বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গাদের বসবাসের অবস্থা প্রভাবিত হতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়ের জন্য একটি দ্বীপ প্রস্তুত করেছি।’
কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সাল থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কাজ করছে এবং দেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বেশ কিছু বাড়ি নির্মাণ করেছে।
জবাবে জাপানের বিশেষ দূত কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের রোগ বর্তমানে বাংলাদেশে সহজে নিরাময়যোগ্য। তবে কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশে ডব্লিউএইচওর আবাসিক প্রতিনিধি ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচএস/এনডিএস