ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কর্ণফুলী তীরের সেই ভবনটিও ভাঙা হবে, তবে…

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কর্ণফুলী নদীতীরে প্রথম পর্যায়ে টানা ছয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান আজ শেষ হয়েছে। এ ছয় দিনে প্রায় ২৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদসহ উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচটি খাল। তবে পুরো উচ্ছেদ অভিযানটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে মাঝিরঘাট এলাকার একটি তিনতলা ভবন। এ ভবনটি ভাঙা না ভাঙা নিয়ে ‘একটি ভবন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘জাগোনিউজ২৪.কম’। আজ সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

এক প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘একটা ভবন নিয়ে কথা হচ্ছে। কী যেন... কর্ণফুলী ফিসারিজ। সব ভবনই ভাঙা হবে, অবৈধভাবে আছে এমন সব স্থাপনা। তবে সবকিছু ধুমধাম করে ভেঙে ফেললে হবে না। এটার কী ইফেক্ট আছে তা দেখতে হবে। বিশাল এই ভবনে কয়েক হাজার মাছ আছে। তাই তাকে কিছু সময় দেয়া হবে। সেটা হতে পারে ছয় মাস।’

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের বাংলাবাজার এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ম্যাজিস্ট্রেটরা হুমকি পাচ্ছেন- এমন বিষয় মন্ত্রীর নজরে আনা হলে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘কীসের হুমকি? এসব হুমকি আমলে নেয়ার কিছু নেই। যার সাহস আছে সে হুমকি দেয়? হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে? কেউ পার পাবে না।’

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘আগের বাংলাদেশ এখন নেই। এটা একুশ শতকের বাংলাদেশ। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখানে আমাদের ইন্টেলিজেন্স ভেরি স্ট্রং। আমি থাকতে কাজ বন্ধ করতে দেব না। কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে। আগে এই জায়গাগুলো বেদখল ছিল। এখন আমরা দখলে নিয়েছি। প্রথম কাজ হলো বেদখল হয়ে যাওয়া জমিগুলো উদ্ধার করা। এরপর একটু সময় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। এখানে দৃষ্টিনন্দন কিছু কাজ করা হবে। মানুষের বিনোদনের জন্য কিছু করা হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে উদ্ধার হওয়া জায়গা যেন আবার বেদখল হয়ে না যায়।’

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘নদীতীরে বিনোদন কেন্দ্র হলেও তীর নিয়ে আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। এখানে পন্টুন-জেটি টাইপের কিছু করার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ বন্দরের ধীরগতির লোড-আন লোডিংয়ে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। যার পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন। জাহাজগুলোকে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। প্রচুর রিজার্ভ নষ্ট হয়। তবে পন্টুনগুলো আমরা করব না। পোর্ট বা বিআইডব্লিউটিএকে দেয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর সদরঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। আজ শনিবার বারিক বিল্ডিং এলাকায় গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়। এ অভিযানে ২৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি খালও উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় দিনের উচ্ছেদ অভিযানে বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়।

আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন