দুই জেলার ৭ ইটভাটা বন্ধ করে দিল পরিবেশ অধিদফতর
দুইদিনে সাতটি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪৬ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জ জেলার সদর ও হোসেনপুর উপজেলার চারটি ইটভাটাকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং।
এর আগের দিন বুধবার নরসিংদীর তিনটি ইটভাটা বন্ধ ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই দুইদিনই অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদফথরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এবং নরসিংদী জেলা কার্যালয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৮ অনুযায়ী অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার অপরাধে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত এসইবি ব্রিকসকে ১০ লাখ টাকা, আরএসবি ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা এবং হোসেনপুর উপজেলায় অবস্থিত রাকিব ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা ও ইউরেকা ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা জমিরামানা করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ভাটা চারটি পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
বুধবার একই আইনে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অপরাধে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় অবস্থিত এসটিসি ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা, অনামী ব্রিকসকে ৯ লাখ টাকা এবং রায়পুরা উপজেলার এমজিবি ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ভাটা তিনটি পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০০৭) এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রত্যেক জেলায় জেলায় মোবাইল পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রদান করা হবে। অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরের এনফোর্সমেন্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পিডি/বিএ