ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংসদে আলোচনা ও একটি সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। সমস্যা সমাধানে এই কমিটিকে ভারত, চীন, মিয়ানমার ও জাতিসংঘে গিয়ে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ দিন নির্ধারণের প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। সরকারি দলের এ সংসদ সদস্যের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সর্বদলীয় কমিটি করার প্রস্তাব দেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।

এ সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১-১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। দীর্ঘ সময়ে মাত্র ৩ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত গেছেন। তাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে অনীহা রয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের সমস্যা নয়; বৈশ্বিক সমস্যা। বিদ্যমান এ সমস্যা সমাধানে সংসদে সব দল মিলে আলোচনার জন্য একটি দিন নির্ধারণ করা যেতে পারে। সংসদে আলোচনা করে একটি প্রস্তাব নেয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, ভারত, চীন ও মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি সংসদীয় কমিটি থাকবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু জানান, রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ কীভাবে দেখছে তা দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর জানা দরকার। একটি দল জাতিসংঘ সফর করে সংসদে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে সর্বদলীয় কমিটি করার প্রস্তাব দেন তিনি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, সেটা কতটুকু যথাযথ ছিল তা খতিয়ে দেখা দরকার। এই চুক্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন করলেই ফেরত যাব এটি যুক্ত করা হয়েছে। তা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল বলে মনে করি না।

মেনন জানান, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল করেছেন, এটা সত্য। কিন্তু এই সমস্যা চলতে পারে না।

সরকারের বাইরেও যারা থাকেন তারও এ ধরনের সংকট সমাধানে সাহায্য করতে পারেন। গঙ্গার পানি চুক্তি ও শান্তিচুক্তিকে ট্র্যাক টু ডিপ্লোমেসি’ কাজ দিয়েছিল। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক তৎপরতা (‘ট্র্যাক টু ডিপ্লোমেসি’) চালানোর আহ্বান জানান মেনন।

এইচএস/জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন