জামায়াত কেন নিষিদ্ধ হচ্ছে না : কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এখনই কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না, এর কারণ জাতীয় সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দলটির বিরুদ্ধে মামলা থাকায় এখনই তাদের নিষিদ্ধ করা যাচ্ছে না। তবে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেলে দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল। এ দেশে গণহত্যা চালানো থেকে শুরু করে নারী ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের অপরাধ করেছিল। সেই অপরাধের বিচার স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর যখন জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই বিচার কার্য বন্ধ করে দেয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয় এবং ভোটের অধিকার দেয়। যেটা আমাদের সংবিধানে ছিল না।
আরও পড়ুন >>পদ্মা সেতুর কাজ ৬২ শতাংশ শেষ : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এখন জনমত এমনভাবে সৃষ্টি হয়েছে যে জামায়াতকে এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে নিবন্ধন লাগে নির্বাচন কমিশনে তারা সে শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি বলে তাদের নিবন্ধন দেয়া হয়নি। কিন্তু তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে কোর্টে একটি মামলা রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই যে তারা তাদের (জামায়াত) ভোট দেয় নাই। সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অপরাধী, মানুষ খুন করা থেকে শুরু করে মানিলন্ডারিং, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এ সমস্ত মামলায় তারা সাজাপ্রাপ্ত। যারা গ্রেফতারকৃত তারা গ্রেফতার আছেন। যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন তাদের ফিরিয়ে আনার জন্যে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে। আমি বিশ্বাস করি, ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে পারব।
এইউএ/জেএইচ/এমএস