সভ্যসমাজ বিনির্মাণে বইয়ের রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ এখন ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই সাফল্যের পথ ধরে গণগ্রন্থাগারও সেবাসমূহকে প্রযুক্তিভিত্তিক সহজায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সভ্যসমাজ বিনির্মাণে বইয়ের রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশ ও জাতির শিক্ষা, রুচিবোধ ও সংস্কৃতির কালানুক্রমিক পরিবর্তনকে গ্রন্থাগার বই কিংবা অন্য কোসো প্রামাণ্য আকারে ধারণ করে। তাই গ্রন্থাগারকে অতীত ও বর্তমান শিক্ষা-সংস্কৃতির সেতুবন্ধ বলা হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, গণগ্রন্থাগারে সকলের জন্য পাঠসেবা, তথ্যসেবা, গবেষণা কার্যক্রমসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সেবাপ্রাপ্তির বাধাহীন সুযোগ থাকে। সে কারণে গণগ্রন্থাগারকে জনমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়রূপেও অভিহিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তবে প্রযুক্তির বিবর্তনের সঙ্গে এখন মুঠোফোনসহ নানা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সকলের হাতে পৌঁছে গেছে। এসব প্রযুক্তিপণ্যের অতি ব্যবহার মানুষকে দিন দিন যন্ত্রমানবে পরিণত করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বই একটি উত্তম বিকল্প হতে পারে।’
তিনি বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন গ্রন্থাগারসেবা গ্রহণে দেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে আরও সচেতন, উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে বলেও আশা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
এফএইচএস/বিএ