উৎপাদন দিগুণ করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিতে যে অর্জন তা ধরে রেখে উৎপাদন দিগুণ করতে হবে। কৃষি শ্রমিকরা অন্য পেশায় সম্পৃক্ত হওয়ায় বর্তমানে শ্রমিক সংকট দেখা যাচ্ছে। এ সঙ্কট লাঘবে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মিলনায়তনে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন বিশ্বে বিরল। তবে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। নিত্য নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাদ্যের স্বয়ংসর্ম্পূণতা নিশ্চিত করায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন বিএডিসির মো. ফজলে ওয়াহেদ খন্দকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক। কর্মশালায় কৃষির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেয়।
কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে বিপ্লব আনার ক্ষেত্রে আপনাদের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। কৃষি নিয়ে উদ্ভাবন ও উন্নয়ণমূলক লেখালেখি করতে হবে। কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের সহযোগিতা পেলে কৃষিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবো।
ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে 'স্বাদের' বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলনে, মানুষ এখন স্বাদের দিকটি বিবেচনা করে। স্বাদের ব্যাপারটি গুরুত্বর্পূণ। তাই স্বাদের বিষয়টি বিবেচনা করে নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা উৎপাদনে জোর দিতে হবে। দেশে সরিষা চাষ বাড়াতে ভবিষ্যতে একটি প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা জানান তিনি।
এফএইচএস/এএইচ/জেআইএম