ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বইমেলায় র‌্যাব-পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

অমর একুশে বইমেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাব। ইতোমধ্যে মেলাকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে ঘোরাফেরা করবে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ।

আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেলা উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, কাজ চলছে ওয়াচ টাওয়ার তৈরির।

মেলা উপলক্ষে ডিএমপি পুলিশ মাঠে থাকবে, স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। শাহবাগ, বকশি বাজার, নীলক্ষেত ও দোয়েল চত্বর ঘিরে থাকবে পুলিশের বহিঃবেষ্টনী নিরাপত্তা বলয়। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবে আন্তঃবেষ্টনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উভয় বই মেলা চত্বর ও তার আশপাশ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণের কন্ট্রোল রুম থেকে মেলার ভেতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। যৌন হয়রানি, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।

যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলায় প্রবেশ ও বাহিরের জন্য থাকবে আলাদা গেট। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করানো হবে। এ ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক ও শিশুদের জন্য ফিডিং কক্ষ, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার। প্রতিবারের মতো এবারও দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি পান করাবে ডিএমপি।

মেলা শুরুর আগেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। নিবিড় তদারকির মধ্য দিয়ে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া হবে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে প্রতিটি বইয়ের স্টলে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হবে না। শুধু বাংলা একাডেমির স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। এ এলাকায় কোনো প্রকার হকার বা ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রবেশ করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো লেখক ও প্রকাশকের বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তাহলে মেলায় স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে। অমর একুশে বইমেলায় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত করে এমন কোনো বই প্রকাশকরা মেলায় আনতে পারবেন না। যেকোনো নতুন বই মেলায় আসলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। যাতে করে কোনো বই ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে আঘাত না করতে পারে।’

পুলিশের পাশাপাশি মেলার নিরাপত্তা দেবে র‌্যাব। মেলায় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সেখান থেকে গোটা প্রাঙ্গণ নজরদারি করা হবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, অমর একুশে বইমেলা আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে পুরো এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি র‌্যাবের টহল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকায় র‌্যাবের টহল টিমের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

এআর/এনডিএস/পিআর

আরও পড়ুন