৭০ ইঞ্জিন কিনতে আরও ৭১৩ কোটির বেশি টাকা চায় রেল মন্ত্রণালয়
২০১১ সালে ৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনার জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্প অনুমোদনের সাড়ে সাত বছর পর ২০১৯ সালে এসে এই ৭০টি ইঞ্জিন কেনার জন্য আরও ৭১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার প্রস্তাব করেছে রেল মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নের মেয়াদ সাত বছর বাড়তি চাওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) নতুন সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য ওঠার কথা রয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধন)’ নামের এই প্রকল্প বাংলাদেশ রেলওয়ে বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, এর পুরোটাই ছিল সরকারি অর্থায়নে। প্রথম সংশোধনে ব্যয় বাড়িয়ে চাওয়া হয়েছে দুই হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৩ লাখ ১১ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬১৪ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার সরকার এবং দুই হাজার ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ ১১ হাজার টাকা প্রকল্প সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
মূল প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। সংশোধিত প্রস্তাবে সাত বছর বাড়িয়ে চাওয়া হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমানে ২৭৫টি ইঞ্জিন রয়েছে, যার মধ্যে ১৮১টি এমজি এবং ৯৪টি বিজি। একটি ইঞ্জিনের মেয়াদ (ইকনমিক লাইফ) ২০ বছর ধরা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৪২টি ইঞ্জিনের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। পুরনো ইঞ্জিনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ যেমন ব্যয়বহুল তেমনি নির্ভরযোগ্যতা খুব কম। এরকম পরিপ্রেক্ষিতে ৭০টি এমজি ডিজেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। মূল প্রকল্পটি ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়।
পিডি/জেডএ/পিআর