ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অবৈধ অর্থ আদায়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ বাধ্যতামূলক ও বেআইনিভাবে অর্থ আদায় এবং হয়রানির অভিযোগে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন >> ২৪ বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক আবজাল দম্পতি!

অভিযানকালে বেআইনিভাবে অর্থগ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রশাসন) বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এরপর প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে বরখাস্তের আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুদক হটলাইনে (১০৬) ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বেআইনিভাবে অর্থগ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ জানালে মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন >> চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তার উত্তরায় তিনটি পাঁচতলা বাড়ি!

দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সবুজ হাসানের সমন্বিত টিম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে দেখা যায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রশিদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনামূল্যে ভর্তি করানো হয়নি বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে ভর্তি বাবদ ওই প্রধান শিক্ষক এভাবে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু এসব টাকার কোনো হিসাব রাখা হয়নি।

প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা দুদক টিমের কাছে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকারও করেন।

আরও পড়ুন >> উইলস লিটল ফ্লাওয়ার ও আইডিয়ালে দুদকের অভিযান

অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দুদক শিক্ষা সেক্টরে দুর্নীতির শেকড় উৎপাটনে কঠোর অভিযান চালাবে। তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা থাকতে হবে।’

‘দুদক হটলাইন (১০৬) জনগণের অভিযোগকে স্বাগত জানাবে এবং প্রতিকার প্রদান করবে’- বলেন তিনি।

এমএইএ/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন