ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ কাজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে ২০২১ সালের এপ্রিলে তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও তা ভেস্তে গেছে। অবশেষে এই নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে।

এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ হবে ২ লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর। নতুন এ টার্মিনাল ভবন নির্মাণের পাশাপাশি বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ করা হবে। স্থানান্তর ও সম্প্রসারণ করা হবে কার্গো ভিলেজ, ভিভিআইপি কমপ্লেক্স, হ্যাঙ্গার ও পদ্মা ওয়েল ডেপোসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

নির্মাণ কাজের জন্য গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বেবিচক। তবে দরপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা ১ মাস বাড়ানো হয়। আগের দরপত্র সংগ্রহের সময়সীমা ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যা বাড়ানো হয়েছে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। একইসঙ্গে দরপত্র খোলার তারিখ এক মাস পিছিয়ে ১৯ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

দরপত্রের সময়সীমা বাড়ানোর প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম বলেন, এটি বৃহৎ একটি প্রকল্প। দরপত্রের সঙ্গে অনেক ধরনের বিষয় সম্পৃক্ত। অনেক তথ্য-উপাত্ত ও জামানত জমা দিতে হবে আবেদনকারীদের। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, থার্ড টার্মিনালের নকশায় রয়েছে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজ, যদিও প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হবে ১২টি। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী বাকি ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ ধাপে-ধাপে নির্মাণ করা হবে। যাত্রীদের তৃতীয় টার্মিনালে চেকইন বেল্ট থাকবে ১৩টি। আগত যাত্রীদের চাপ সামলাতে ও যানজট এড়াতে বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযোগ সড়কেও আসবে পরিবর্তন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে জাপানের জাইকার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

আরএম/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন