বাড্ডায় খুন : টার্গেট ছিলেন গামা
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামাই ছিলেন মূল টার্গেট। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বাড্ডায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গামার সঙ্গে অন্য নিহতরা অবস্থার শিকার বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি, উত্তর) উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।
তিনি বলেন, বাড্ডার যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল সেটি কোনো আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার জন্য ঘটানো হয়নি। মূলত ঝুট ব্যবসা, স্বার্থের দ্বন্দ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারই ছিল এটার মূল কারণ।
বাড্ডার ওই ঘটনায় আহত আবদুস সালাম রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ সম্পর্কে শেখ নাজমূল বলেন, আমরা শুনেছি ওই ঘটনায় আরো একজন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হলো।
মামলার তদন্তে অগ্রগতির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গ্রেফতার দুজনের কাছ থেকে ৮ জনের নাম পেয়েছি। এছাড়া আরো অজ্ঞাত দুই/এক জন জড়িত আছে যাদের নাম আমরা এখনো পাইনি।
এই ঘটনার নেপথ্যে কারা এমন প্রশ্নে উত্তরে ডিসি বলেন, তদন্ত কাজে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি এবং গ্রেফতারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত কাজ চলছে। তবে যাদের নেতৃত্বে হত্যা পূর্ব মিটিং হয়েছিল তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারলে এই ঘটনার নেপথ্যের লোক এবং মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্যে গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে বাড্ডার লিংক রোডের আদর্শনগরের ওয়াসার পানির পাম্পের মধ্যে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের চার নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ১০টায় মানিক ও শামসুদ্দীন মোল্লা মারা যান। পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা মারা যান। সর্বশেষ গত রোববার রাতে আবদুস সালাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জেইউ/এসকেডি/একে/আরআইপি