২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি সম্ভব
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করা সম্ভব। বর্তমানে দেশের মোট রফতানির ৮১.২৩ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। এ সময় তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজক সংস্থা সেমস গ্লোবাল এবং চায়নার সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি টেক্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘১৫তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো-২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেমস্ গ্লোবালের কর্ণধার মিজ মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএয়ের প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএয়ের ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ এবং চায়নার সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি টেক্সের পরিচালক সেন জেন।
মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের রফতানি বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। ব্যাংক লোন সহজ ও সুদের হার কমানো প্রয়োজন। জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান এখন ৩২ ভাগ। দ্রুতগতিতে দেশে শিল্পায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। দেশের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে এবং ভারত থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব ক্ষেত্রে কাজ চলছে। দেশে শিল্পায়নের জন্য চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেলায় ২২টি দেশের ৩৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীতে রয়েছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি, সুতা, ডেনিম, নিটেড ফেব্রিক্স, ফ্লিস, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফাইবার, রং, রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং উদ্ভাবনী কাঁচামাল। মেলা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস