প্রার্থী হতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গের নারী পরিচয়দাতারা
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে তৃতীয় লিঙ্গের নারী পরিচয়দাতারা প্রার্থী হতে পারবেন। তবে যারা ভোটার হওয়ার ফরমে নারী পরিচয়ের অপশন পূরণ করেননি, তারা প্রার্থী হতে পারবেন না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এমন তথ্য দেন। এর আগে ইসির কমিশনে বৈঠক হয়।
ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সংরক্ষিত আসনে ভোটাভুটি হয় না, তাই নির্বাচনটা এগিয়ে আনতে চাই। আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার কথা বলা হলেও তা এগিয়ে এনে ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, সরকার ইতোমধ্যে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ভোটার হওয়ার ফরমে এখনো বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেনি নির্বাচন কমিশন। সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি নিজেকে নারী অথবা পুরুষ হিসেবে দাবি করার অপশন দেয়া আছে।
সংরক্ষিত আসনে তৃতীয় লিঙ্গের কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, হিজড়ারা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে আছেন। তবে যদি ভোটার হওয়ার ফরমে কেউ নারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন, তিনি প্রার্থী হতে পারবেন।
সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন আইন অনুযায়ী, দেশের যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো নারীই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী হতে পারবেন। তবে একজন প্রস্তাবক ও সমর্থক হতে হবে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য তৃতীয় লিঙ্গের আটজন ফরম তুলেছেন।
সংসদের ৩৫০ আসনের ৫০টি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৩০০ আসনে সরাসরি ভোট হলেও সংরক্ষিত আসন বণ্টন হয় ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, বিএনপি এক, ওয়ার্কার্স পার্টি এক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে একটি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে।
এইচএস/জেডএ/এমএস