শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের
টানা তৃতীয় মেয়াদে ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেনন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও সফলতা কামনা করেন।
মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তার কাছে মেরকেলের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলৎজ।
সৌজন্য সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন করে দায়িত্ব নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথে সব ধরনের সফলতা কামনা করেছেন তিনি। পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।’
বাংলাদেশকে ‘বিপুল সম্ভাবনার দেশ’ হিসেবে বর্ণনা করে জার্মানির রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তা বাস্তবায়নে জার্মানি সহায়তা করবে। রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানেরও প্রশংসা করেন। জার্মান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক খাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
দুই দেশের ‘চমৎকার সম্পর্কের’ বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য সেসব জায়গায় জমি বরাদ্দ নিয়েছে। জার্মান কোম্পানিগুলোকেও জমি বরাদ্দ নিয়ে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটানো।’ হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা হবে বলেও বৈঠকে জানান সরকার প্রধান।
জার্মানির সঙ্গে অনেক খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সড়ক, রেল ও নৌ তিন ধরনের যোগাযোগ কাঠামো উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস