রোহিঙ্গা-ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে আগ্রহী দ. কোরিয়া : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট এইচ ই লি মিকউনের নেতৃত্বে নয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
ট্রাফিক বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘উনার কাছে ঢাকা শহরের ট্রাফিক দেখে ভালো লাগে নাই। বারবার তিনি অভিযোগ করছিলেন। এ রকম ট্রাফিক তাদেরও এক সময় ছিল। কিন্তু এটা কমানো যাবে (ম্যানেজেবল)। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জন্য কোরিয়ায় যারা এই কাজগুলো করে, তাদের বলবেন, বাংলাদেশে এসে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট হাতে নিয়ে এর ওপরে যেন কাজ করে।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি (কোইকার প্রেসিডেন্ট) বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গেলেন। অনেকে করত না, এটা বাংলাদেশ করেছে।’ বাংলাদেশের জন্য এটা সাময়িকভাবে একটা সমস্যা, তিনি আশা করেন, এটা কেটে যাবে। এ সমস্যা থাকবে না, এটা কেটে যাবে। তিনি যখন ফেরত যাবেন, এই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তার সরকারকে অবহিত করবেন। কীভাবে এই ইস্যুটির সমাধান করা যায়, সে ব্যাপারে তিনি অবশ্যই কাজ করবেন।’
এলজি, হুন্ডা ও স্যামসাংয়ের মতো অনেক বড় বড় কোম্পানি কোরিয়াতে আছে, যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আশ্বস্ত করেছেন আমাকে, কোরিয়ায় ফিরে গিয়ে সব বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা। বাংলাদেশের জন্য তিনি কাজ করবেন। এটা তিনি কথা দিয়েছেন।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যে সমস্ত এলাকায় আমাদের ঘাটতি ছিল, সে ঘাটতিগুলো পূরণে তারা আমাদের সাহায্য করেছে। এরই মাঝে ২৪টি প্রকল্পে তারা ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে। আরও আটটি প্রকল্প চলামান। সেখানেও ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করেছেন।’
প্রদীপ দাস/জেএইচ/এমএস