ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্ব পাচ্ছে যেসব বিষয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

নির্বাচনের পর একাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

আরও পড়ুন >> রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

সংবিধানের ৭৩ (২) ধারা অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের সূচনায় এবং প্রতি বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে বছরের শুরুতে যে সংসদ বসে সেটাতে এবং সরকার গঠনের পর প্রথম বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন, সেটা মন্ত্রিসভা ফাইনালাইজড করে দেয় এবং তিনি সর্বশেষ চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সেটা সংসদে পাঠ করা হয়।’

২০১৯ সালের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেগুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সামষ্টিক অর্থনীতির চিত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের গৃহীত কার্যক্রম, রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিভিন্ন খাতে গৃহীত কর্মসূচির রূপরেখা, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য, কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য, দেশি ও বিদেশি কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও গ্রামীণ অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি প্রযুক্তির উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়নের বিষয় থাকবে।’

তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির ভাষণে আরও যে বিষয়ে থাকবে তা হলো- তথ্য ও গণমাধ্যমের উন্নয়ন; আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, আইন প্রণয়ন ও বিচারিক কার্যক্রম, জনপ্রশাসনের উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রম, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে গৃহীত কার্যক্রম, প্রশাসনিক নীতি, কৌশল, উন্নয়ন দর্শন এবং অগ্রযাত্রার দিকনির্দেশনা।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতির ভাষণ দুটি ফর্মে তৈরি করা হয়। একটি মূল ভাষণ এবং আরেকটি পড়ার জন্য সংক্ষিপ্ত ভাষণ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মূল ভাষণ ৭৫ হাজার শব্দ সম্বলিত। সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রায় ছয় হাজার শব্দ রাখা হয়েছে। বড় ভাষণটি টেবিলে দেয়া থাকবে। মূল ভাষণের ইংরেজি সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে।

আরএমএম/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন