ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া মেজরের প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া মেজরসহ প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার রাতে আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটির জারা টাওয়ারের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, ভুয়া মেজর সৈয়দ আবু জাফর (৬১) ও শিল্পী আক্তার (২৯)।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক জানান, অভিযোগের তদন্ত করে তাদের আটক করা হয়। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আরও ৩-৪ জন। আটক ও পলাতকরা সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। তারা সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সৈয়দ আবু জাফর (৬১) এই চক্রের প্রধান। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর হিসাবে পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন মানুষের কাছে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত মেজর র‌্যাংক ব্যাজ সম্বলিত ছবি দেখিয়ে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসাবে উপস্থাপন করতেন।

সাধারণ ছাত্র, বেকার যুবক, দরিদ্র ছাত্রদের সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। চাকরি প্রত্যাশীদের সেনানিবাস ও আশেপাশের এলাকায় গাড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতেন। ক্লিনিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য সব ব্যবস্থাও ছিল তার জানা। ভুয়া মেজর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিত। তার এলাকার দারোয়ান থেকে ডিস ব্যবসায়ী পর্যন্ত সকলেই তাকে মেজর পরিচয়ে চিনত এবং সে তাদের উপর প্রভাব দেখাত।

চক্রের সহায়তায় চাকরি প্রত্যাশীদের বিভিন্ন বাহিনীতে যোগদানের জন্য ভুয়া নিয়োগপত্র দিত। আশ্বস্ত করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। সম্প্রতি হাবিবুর রহমান সরদার ও আজগর আলী নামের দুই জনকে নৌ বাহিনীর দুটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়।

আটক আবু জাফর বলেন, আবুল কালাম আজাদ, আলামিন, জিয়াউল হক, পলাশ, আব্দুর রহমান ও আব্দুল আলিম নামে কয়েকজনকে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করেছেন।

অন্যদিকে শিল্পী আক্তার চক্রের দ্বিতীয় হোতা, তিনি সৈয়দ আবু জাফরের তৃতীয় স্ত্রী। বিভিন্ন সময় তিনি সেনা বাহিনী ও নৌ বাহিনীতে ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীদের স্বামী সৈয়দ আবু জাফরের কাছে পৌঁছানো ও অবৈধ কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করে আসছিলেন। চক্রের অপর সদস্য আতাউর রহমান খানও (৫০) একইভাবে আবু জাফরকে সহযোগিতা করে আসছিলেন। আটককদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জেইউ/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন