মিয়ানমারের সঙ্গে মৈত্রী সড়ক করবে সরকার
সড়ক পথে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে একটি রাস্তা তৈরি করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক নামে এই রাস্তাটি হবে বালুখালি থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৫৫ কোটি টাকা।
মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোড়দার করতে সড়কটি করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও সেতু বিভাগ। ২০১৭ সালের জুন মাসে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২ কিলোমিটার।
পরিকল্পনা কমিশনের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এই সড়কটি করা হবে মূলত মিয়ানমারসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে। এছাড়া এর অন্যতম উদ্দেশ্য মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো।
এছাড়া সড়কটি হলে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন শিল্পের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য ১০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে সরকারকে।
প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যয়ের পুরো অর্থ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
প্রকল্পের ব্যয়ের ১৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে চলমান ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট থেকে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট থেকে দেওয়া হবে ৩১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থ বছর থেকে বরাদ্দ রাখা হবে ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
সূত্র বলছে, প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করা হয়েছে। এখন এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপনের জন্য আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভা অনুমোদন দিলে সড়ক ও সেতু বিভাগ এর কাজ শুরু করতে পারবে।
এসএ/একে/আরআইপি