ভিক্টোরিয়ার ৮টি গোডাউন পুড়ে গেছে, ক্ষতি শত কোটি
প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা জ্বলার পর শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ভিক্টোরিয়া জুট মিলের আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এরই মধ্যে দেশসেরা ছয়টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আটটি গোডাউনে পুড়েছে শত কোটি টাকার পণ্য।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুনে গোডাউনগুলোর ভেতরে থাকা প্রচুর পরিমাণের প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, টিভি-ফ্রিজ, তুলা, চাল, ঢেউটিনসহ সকল মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে গেলেও আশপাশে পানির সংকট পড়ায় কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে চারটি ইউনিটের ১৪টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সন্ধ্যায় আরও ছয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে অংশ নেয়। তাতে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল স্মোকেল গাড়ি, হোম ট্রেন্ডার, লিবারেডিসহ কয়েকটি স্পেশাল ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে রাত ১০টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে পুরোপুরি।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পণ্যদ্রব্যের গুদামগুলোতে কেমিকেল ও তুলার মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। এরপরে ডাম্পিংয়ের কাজ চলেছে আরও প্রায় দুই ঘণ্টা। আমাদের আগ্রাবাদ, বায়েজিদ ও বন্দরসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের ২২টি গাড়ি আগুন নেভাতে কাজ করেছে।’
এদিকে ভিক্টোরিয়া জুট মিলের মালিকানায় থাকা ইস্পাহানি সামিট অ্যালায়েন্স টার্মিনাল লিমিটেডের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) নুরুল আলম বলেন, ‘আগুনে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের অন্তত একশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
আবু আজাদ/বিএ/এমএস