‘সমবায়ভিত্তিক অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা হবে’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায় ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্তিমিত হওয়া সমবায় ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে।’
রাজধানীর মতিঝিলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডেরর দাফতরিক ও পরিচালনা কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার ও সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সমবায় পূর্বে যে পরিমাণে আগ্রহের জায়গায় ছিল বর্তমানে সে অবস্থায় নেই। সমবায় ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে এবং যথাযথ ক্ষমতায়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামাঞ্চলের জনগণ খুবই সম্ভাবনাময়। সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব। ক্ষুদ্র ঋণ ও মাঝারি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করতে হবে। সমবায় ব্যাংক এ কাজে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে।’
সভায় জানানো হয়, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ব্যাংক নামে যাত্রা শুরু করার পর সমবায় ব্যাংক লিমিটেড সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি ও কেন্দ্রীয় আখচাষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে সারাদেশের সমবায়ী কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রদান করছে। ব্যাংকটি দেশের ১ হাজার ৭৮০টি সমবায় সমিতির ৩৬ হাজার সদস্যকে ৬৭ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।
এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র ব্যবসা, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, গাভি পালন, শাক সবজি চাষ, তরমুজ চাষ, আনারস চাষ, চা উৎপাদন, কৃষিজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সোলার ও আইটি প্রকল্পে ১০৯টি সমবায় সমিতির ৪ হাজার ১২৫ সদস্যকে ১৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করেছে।
এমইউএইচ/এনডিএস/এমকেএইচ