ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অন্যায় না করার শপথ করালেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘অন্যায় না করার’ শপথ পাঠ করালেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ।

প্রতিমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে উপস্থিত সকলে ‘অন্যায় করব না অন্যায় হতেও দেব না’শপথ পাঠ করেন।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি)) সকালে আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ শপথ বাক্য পাঠ করান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও কোনো অন্যায় করব না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে অন্যায় করতেও দিব না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার সময় এ ওয়াদা করেছি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মত পবিত্র মন্ত্রণালয়কে অপবিত্র করার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে চাই।’

হজ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পালনের অঙ্গীকার করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাজিরা আল্লাহর মেহমান। আল্লাহর মেহমানদের কোনো প্রকার কষ্ট যাতে না হয় সে জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা ছিল। তাই সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে হবে। ইসলামে সংকীর্ণতার কোনো স্থান নেই। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের নাম প্রথম কাতারে চলে আসবে। প্রকৃত দ্বীনী শিক্ষা ও দাওয়াতের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, জালাল আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এএইচ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন