ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৫ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে এবার প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামী ১৯ জানুয়ারি ১৪৯৯টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। বুধবার গুলশান ২ নম্বরের নগর ভবনে সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, আগামী ১৯ জানুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (দ্বিতীয় রাউন্ড) পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১০০০০০ আই ইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল (২০০০০০ আই ইউ) খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

চিকিৎসকদের মতে, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫টি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, ‘ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ১৯ জানুয়ারি ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৮২ হাজার ১৫ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের শিশুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ জন।’

তিনি বলেন, ‘এই কার্যক্রমে ডিএনসিসি এলাকায় মোট ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্র থাকবে যার মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯ এবং অস্থায়ী ১ হাজার ৪৫০টি। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী/স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন ২ হাজার ৯৯৮ জন। এর মধ্যে প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন ১৮৩ জন এবং দ্বিতীয় সারির সুপারভাইজার ১০৩ জন। পাশাপাশি তদারককারী (কেন্দ্রীয়) ১০ জন এবং ৫ সদস্যবিশিষ্ট মনিটরিং টিম থাকবে ১টি। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এসআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন