ডিসেম্বরে সরকারের উন্নয়ন প্রচারে খরচ ৫ কোটির বেশি : টিআইবি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ডিসেম্বর মাসে সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারে ২৭টি বেসরকারি চ্যানেলে ৫ কোটি ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩০ টাকা খরচ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত এক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ক্ষমতাসীন দলের প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান বা স্পট সম্প্রচারের সুবিধা পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। প্রতিবেদন পাঠ করেন গবেষক দলের সদস্য শাহজাদা এম আকরাম।
নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে কোনো প্রচার চালানো নিষেধ। তবে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ১০টি বিষয়ে অনুষ্ঠান ২৭টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কেবল ডিসেম্বর মাসে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১ সেকেন্ড ধরে প্রচারিত হয়, যার প্রাক্কলিত আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩০ টাকা।
‘থ্যাংক ইউ পিএম’ নামে একটি টিভি স্পট অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে ১৩টি চ্যানেলে প্রচার হয়, যার প্রাক্কলিত আর্থিক মূল্য ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৭০ টাকা।
‘আমরা বাংলাদেশের পক্ষে’ নামে ৫৫টি টিভি স্পট ডিসেম্বর মাসে ২৫টি চ্যানেলে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯৫ সেকেন্ড প্রচারিত হয়, যার প্রাক্কলিত আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪৫ টাকা।
টিআইবি বলছে, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রচারিত সংবাদে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের একচ্ছত্র আধিপত্য এবং বিরোধী দল/জোটের অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিটিভির সংবাদ প্রচারের ফলে কেবল ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী প্রচার করার সুযোগ পেয়েছে।
নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রচারণা লক্ষ করা যায়, যেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি কার্যক্রমের সঙ্গে প্রচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অংশগ্রহণে সরকারি কার্যক্রমে দলীয় নির্বাচনী প্রচারণা অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নীলসাগর ট্রেনে ঢাকা থেকে নীলফামারী পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘নির্বাচনী যাত্রা’ উল্লেখযোগ্য বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এসআর/এমএস