ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নতি দেখতে চায় যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ০৪:২১ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নতি দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। আগামী দশকে  বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তাকে সমর্থন করে দেশটি।  

রোববার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন, ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডেসমন্ড শয়ারে। রোববার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গরিব মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তাদের যুক্তি তোলে ধরার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ যাতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে পারে, সেই বিষয়ে যুক্তরাজ্য সমর্থন দিয়ে যাবে। বিশেষ করে প্যারিসে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক লক্ষ্য নির্ধারণে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কিভাবে একত্রে কাজ করতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ডেসমন্ড শয়ারে বলেন, উন্নয়নের জন্যে ২০১৫ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দুদেশ গত কয়েক বছরে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। আমি এ সম্পর্ক আরও জোরালো দেখতে চাই এবং বাংলাদেশ আগামী দিনে তার উন্নয়নের ধারা আরও বিস্তৃত করুক সেটাও দেখতে চাই।

তিনি তার এ সফরকালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের কী ধরনের অগ্রগতি হয়েছে, সেই বিষয়ে অধিক নজর দেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ব্রিটিশ বৈদেশিক উন্নয়ন সাহায্য সংস্থা ডিএফআইডির সহায়তার ফলে বাংলাদেশে চর এলাকার জীবনযাত্রার কী ধরনের উন্নতি হয়েছে তা দেখতে চাই। শহর এলাকাতেও কারিগরি প্রশিক্ষণ কিভাবে উন্নতি করেছে সেটাও দেখব।

ব্রিটিশ এ প্রতিমন্ত্রী সফরকালে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা, উন্নয়ন অংশীদার, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সাধারণ বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করবেন। তাদের কাছ থেকে জানবেন ব্রিটিশ সহায়তা বাংলাদেশে কতটা কাজে লাগছে।

বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে অব্যাহতভাবে সহায়তা করায় ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পয়ঃনিষ্কাষণ, শাসন ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংশ্লিষ্ট এমডিজি খাতের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

এসএইচএস/এমএস