ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘গণতন্ত্র সূচকে’ ৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর ‘গণতন্ত্র সূচক’ ৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৮তম অবস্থানে রয়েছে। পাঁচটি মানদণ্ডে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি বিচারে বাংলাদেশের স্কোর ৫.৫৭। গত বছর ২০১৭ সালে পরিস্থিতি বিচারে ৫.৪৩ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯২তম।

পাঁচটি মানদণ্ড হলো- নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার।

প্রতিবেদনে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, মিশ্র শাসন (হাইব্রিড) ও স্বৈরশাসন। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে তৃতীয় শ্রেণির অর্থাৎ মিশ্র শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেছে ইআইইউ।

প্রতিবেদন অনুসারে, গণতন্ত্রের বিচারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ভারত (৪১) ও শ্রীলঙ্কা (৭১)।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এবারের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ ছিল মাত্র ২০টি দেশে, যেখানে বিশ্বের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ মানুষের বসবাস।

৯.৮৭ স্কোর নিয়ে এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। গতবারও তালিকার শীর্ষে ছিল দেশটি। এ ছাড়া তালিকার শীর্ষ দশে আছে- আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিও রয়েছে পূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের তালিকায়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান হয়েছে গতবারের মতই ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের তালিকায়।

প্রতিবেদন অনুসারে, ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের সংখ্যা ৫৫টি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৩.২ শতাশের বসবাস এসব দেশে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই তালিকায় কয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।

এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে মিশ্র শাসনের দেশের তালিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার ভুটান, নেপাল, পাকিস্তানসহ ৩৯টি দেশ রয়েছে। এসব দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬.৭ শতাশের বসবাস।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিবেচনায় বিশ্বের ৩৫.৬ শতাংশ মানুষ এখন স্বৈরশাসনে জীবন কাটাচ্ছে। মিয়ানমার, চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান ও সৌদি আরবকে রাখা হয়েছে কাতারে। আর তালিকার একেবারে তলানিতে আছে উত্তর কোরিয়া।

এমবিআর/আরআইপি

আরও পড়ুন