ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হাসপাতালগুলোতে লাগামহীন দুর্নীতি

প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলো অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ওষুধ ক্রয়ে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে থাকা গাড়ির নামে জ্বালানি বিল তৈরি করে লোপাট করা হচ্ছে অর্থ। এছাড়া হাসাপাতালের অভ্যন্তরীণ আয়ও সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করছেন সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কমিটি জড়িতদের নিকট থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়ের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, আ ফ ম রুহুল হক, মো. আফছারুল আমীন, মো. শামসুল হক টুকু, এ কে এম, মাঈদুল ইসলাম, মো. রস্তুম আলী ফরাজী এবং ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে আলোচনাকালে জানানো হয়, বিভিন্ন হাসপাতালের ইউজার ফি/কমিশন ফি/হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থিত ফার্মেসি এবং ক্যান্টিন ভাড়া ও অন্যান্য চার্জ বাবদ কোটি কোটি টাকা আদায় করা হলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়না। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিজেরাই এসব টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে নেন।

এছাড়া অনেক হাসপাতালে এম এস আর ক্রয় কমিটি সর্বনিম্ন দরদাতার নিকট হতে ওষুধ ক্রয় না করে উচ্চ দরে ওষুধ ক্রয় করেছে বলে দেখিয়েছে। কমিটি মনে করে এসবের দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ক্রয় কমিটির। তাই অতিরিক্ত অর্থ তাদের নিকট থেকে ফেরত নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে বাইরে থেকে না কিনে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ থেকে ওষুধ ক্রয় করারও পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

এদিকে সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে আবাসিক বিদ্যুৎ বিল আদায় করে তা ৬০ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য সব মেডিকেল কলেজের সেবার মান উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়।

এইচএস/এসএইচএস/এমআরআই