যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই ব্যবস্থা : দুদক চেয়ারম্যান
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের হলফনামা দেখে কালো টাকার প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সেই সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ধর-মার-কাট কোনো বিষয় নয়, যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে সরকারের যে অঙ্গীকার তাতে দুদক আত্মবিশ্বাসী। নতুনভাবে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধে আমরা কাজ করব।’
দুদক চেয়ারম্যান জানান, বিশেষ করে আর্থিক দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ সব দুর্নীতি দমনে নতুন উদ্যোগে কাজ করবে দুদক। কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান কার্যক্রম চলবে। যেখানে দুর্নীতি আছে যেখানেই অভিযান চালাবে দুদক। সে যেই হোক। অভিযোগ থাকলে দৃশ্যমান কাজ করব।’
আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমনে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলেও জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের নামে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা দুদক সংগ্রহ করেছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘হলফনামা দেখে কালো টাকার সন্ধান পেলে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া দেশের সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদপড়া অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে- এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ যদি থাকে আমরা অনুসন্ধান চালাব, দৃশ্যমান করব। তবে, এটা ধর-মার-কাট কোনো বিষয় নয়।’
বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেবল বেসিক ব্যাংক নয়, আর্থিক খাতের সব দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবে দুদক। তবে কোনো মেগা প্রকল্প, জনবল নিয়োগের বিষয়ে দুদক সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না। আমরা দেখব এবং ধরব।’
একটি স্কুলে আপনারা অভিযান চালিয়েছিলেন এরপরও ওই স্কুলের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের তথ্য রয়েছে এখন কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্যসহ যেখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাবে সেখানেই গিয়ে আমরা হাজির হব।’
এফএইচ/এনডিএস/এমকেএইচ