ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বকেয়া বেতনের দাবিতে বিআরটিসি ডিপোতে কর্মীদের তালা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) খিলক্ষেতের জোয়ার সাহারা ডিপোতে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে চালক-শ্রমিকরা। বিগত ৯ মাসের বকেয়া বেতন আদায়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছেন তারা। যে কারণে আজ জোয়ার সাহারা বিআরটিসি ডিপো থেকে বের হয়নি কোনো রুটে বাস।

সংস্থার চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া জানান, জোয়ার সাহারা ডিপোর কর্মীদের বেতন কেন বকেয়া, তা জানতে চেয়েছি এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানে ডিপো ম্যানেজারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিআরটিসির জোয়ারসাহারা ডিপো ম্যানেজার মো. নূর আলম বলেন, চালক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এজন্য সকাল থেকেই তারা বিক্ষোভ করছেন। সকালে কোনো বাস ডিপো থেকে বের হয়নি।

BRTC

মো. নূর আলম বলেন, জোয়ারসাহারা ডিপো থেকে প্রতিদিন টঙ্গী-মতিঝিল, আবদুল্লাহপুর-মতিঝিল, কুড়িল বিশ্বরোড-পাঁচদোনা রুটে একতলা ও দ্বিতল বাস চলাচল করে। এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস হিসেবে এ ডিপোর বাস চলাচল করে। ধর্মঘটের কারণে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শামসুল আলম নামে এক চালক জানান, ৯ মাসের বেতন বকেয়া। বাড়ি ভাড়া, থাকা খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিতে পারি না। কাজ করব, বেতন পাব না, সেটা তো হতে পারে না। কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়ে এলেও বকেয়া বেতন আর পরিশোধ করা হচ্ছে না। তাই আজ বাধ্য হয়ে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।

বিআরটিসির জোয়ারসাহারা ডিপো সূত্রে জানা গেছে, এই ডিপোতে একতলা, দ্বিতল এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিলিয়ে ১২০টি সচল বাস রয়েছে। এসব যানবাহনের আয় থেকেই কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে লোকসানের কারণে এ ডিপোর প্রায় ৫০০ কর্মী দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বছর জুলাই মাসেও একবার আন্দোলনে নেমেছিলেন বিআরটিসির জোয়ারসাহারা ডিপোর বাস চালকরা। তখন তাদের ১০ মাসের বেতন বকেয়া ছিল।

জেইউ/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন