ডেমরায় দুই শিশু হত্যা : পালিয়েছে গৃহকর্তা, থানায় স্ত্রী-শ্যালক
রাজধানীর ডেমরার যে বাড়ি থেকে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে সেই বাড়ির গৃহকর্তা মোস্তফাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ডেমরার কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের ‘নাসিমা ভিলা’ থেকে নুসরাত জাহান (৪) ও ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) নামে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল তারা।
এলাকায় মাইকিং করে ‘নাসিমা ভিলা’ নামে ওই বাড়ির নিচতলার ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা কোনাপাড়ার হজরত শাহজালাল রোডে টিনশেড ও পাকা ভবনের পৃথক দুটি বাসায় থাকতো।
ডেমরা থানার পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলম জাগো নিউজকে বলেন, তার (মোস্তফা) স্ত্রীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। বাড়ির গৃহকর্তা মোস্তফাকে পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে। সে বর্তমানে পলাতক। তাকে খুঁজতে অভিযান চলছে।
পুলিশের ডেমরা থানা জানিয়েছে, এলাকার কেউ কেউ বলছেন মোস্তফা রাজমিস্ত্রি, কেউ বলছেন পোশাক শ্রমিক। তবে সবাই নিশ্চিত করেছে যে সে একজন মাদকসেবী ছিল। সে তার স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে নাসিমা ভিলায় সাবলেট থাকতো। আটক মোস্তফার শ্যালকের নাম জানা যায়নি।
নিহত দোলার চাচা রাশেদুল ইসলাম জানান, দুপুরে দোলা ও নুসরাত খেলতে খেলতে হারিয়ে যায়। তাদের খুঁজতে এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হয়। পাশাপাশি ফেসবুকেও ফোন নম্বর ও ছবি দিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। মাইকিংয়ের সময় একজন জানালেন- স্থানীয় মোস্তফা দুপুরের পর শিশু দুটিকে নিজ ফ্ল্যাটে নিয়ে গেছেন।
যুবকের তথ্যের ভিত্তিতে রাশেদুল মোস্তফার খালাকে নিয়ে সেই ফ্ল্যাটে যান এবং দুই শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় ওই নারী মোস্তফা যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারেন সে জন্য বাইরে থেকে তালা দিয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় মোস্তফা।
এদিকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর ওই ঘরটি থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তাদের উভয়ের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং দোলার গায়ে কোনো কাপড় ছিল না বলে জানিয়েছেন কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু হায়াত।
এআর/বিএ