ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উপাচার্য নেই ৩৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৪

বৈধ উপাচার্য (ভিসি) ছাড়াই চলছে দেশের ৩৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া ৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আইনানুগ প্রোভিসি নেই। বৈধ কোষাধ্যক্ষ নেই ৪৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য ছাড়াই চলছে ৩৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী দেশের মোট ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চ্যান্সেলর নিয়োজিত ভিসি রয়েছে ৫৩টিতে। এ তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)।
 
ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. সামসুল আলম জানান, আইনের বিধানমতে ভিসি নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব করা তিনজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চ্যান্সেলরের (রাষ্ট্রপতি) কাছে যায়। যথাযথভাবে আইন মেনে চলা বিশ্ববিদ্যালয় হলে চ্যান্সেলর তিনজনের মধ্য থেকে একজনকে ভিসি পদে নিয়োগ দেন। এর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
 
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, আইন মেনে না চলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনো বৈধ ভিসি নিয়োগ না দিয়ে বছরের পর বছর নিজেদের মনোনীত ভিসি দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
 
জানা গেছে, আইন অনুসারে ভিসি পদের মতো একই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার কথা। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আইনের এ বিধানও অনুসরণ করছে না। ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ তিন পদে সরকারনিযুক্ত কেউ নেই, সেগুলোকে চিঠি দিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে। এর পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে। প্রয়োজনে সরকার ওই তিন পদে নিয়োগ দেবে বলেও জানান তিনি।
 
বৈধ ভিসি নেই:
আইনানুগ ও নিয়মিত উপাচার্য না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্ককর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় ও সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। এই ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের নিয়োগ করা কোষাধ্যক্ষও নেই।
 
ভিসিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, নটর ডেম ইউনিভার্সিটি, ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটি, নাটোরে অবস্থিত রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুরের জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জের রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঝালকাঠির রায়পাশায় অবস্থিত গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
 
ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো পদ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বেশিদিন চলতে পারে না। এটা আইনের পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি সরকারেরও দায়িত্ব আছে।
 
এ ব্যাপারে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, আইনানুগভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে ইউজিসির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চাপ অব্যাহত আছে। শূন্য পদগুলো পূরণ করতে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্র : সমকাল