সেই নারীর ধর্ষক ও পৃষ্ঠপোষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার সেই নারীর ধর্ষক ও পৃষ্ঠপোষকদের সর্বোচ্চ শান্তির দাবি জানিয়েছে ‘নারী সংহতি’ নামক সংগঠন। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
নারী সংহতি এর সভাপতি শ্যামলী সেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক নারী সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইম বাবু, নারী সংহতির সদস্য পপি রানী সরকার, জান্নাতুল মরিয়ম প্রমুখ।
শ্যামলী সেন বলেন, ‘দেশে সম্প্রতি একটি তামাশার নির্বাচন হয়ে গেল। যে নির্বাচন ১১ কোটি ভোটারকে ধোঁকা দিয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারেনি। একটি মেয়ে সাহস করে নিজের ইচ্ছামত বিএনপিকে ভোট দেয়ায় তাকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। সে নির্বাচনকে বৈধতা দিতে আবার দেশের বুদ্ধিজীবী আর বিদেশি পর্যবেক্ষকরা একের পর এক স্টেটমেন্ট দিচ্ছে, এটা লজ্জার। আজ গণমানুষ ও গণ মানুষের মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।’
তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা সব সময় নিপীড়নের স্বীকার। এই ধর্ষিতাকে নিয়েও রাজনীতি চলছে। সব গণমাধ্যম যখন একযোগে ধর্ষণের নিউজ প্রকাশ করল ঠিক সেই মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার একটি দল এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করেছে।’
‘এগুলো সবই ভালো খবর। কিন্তু তারপরও আমাদের আশঙ্কা রয়েছে ধর্ষণকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আদৌ বিচার হবে কি-না? কারণ রানা প্লাজা ধ্বংসের হোতা রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আজ ৬ বছর পার হয়ে গেলেও তার কোনো শাস্তি হয়নি। তাই এই ধর্ষণকারীদের শুধু গ্রেফতার করলেই হবে না। বিচারের মুখোমুখি করার দাবি এ নারী নেত্রীর।’
এদিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় ৭ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই ঘটনায় সালাহ্ উদ্দিন নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে ফেনী জেলার সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার সকালে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতজনকে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলি আদালতে (চরজব্বার) সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে সোপর্দকৃত আসামিরা হচ্ছেন- বাদশা আলম বাসু, মো. সোহেল, মো. স্বপন, ইব্রাহিম খলিল বেচু, রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন ও হাসান আলী ভুলু।
এমইউএইচ/জেএইচ/জেআইএম/এসজি