ইসিতে নিরাপত্তা জোরদার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম, কারচুপি হয়েছে- এমন অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ইসিতে আসার কথা রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের।
ভোটের আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
ইসি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল (২ জানুয়ারি) ঐক্যফ্রন্ট জানায় ইসিতে তাদের প্রার্থীরা আসবেন ৩ জানুয়ারি। এরপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
৩ জানুয়ারি নির্বাচন ভবনে অবস্থান করে দেখা গেছে, পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও নির্বাচন ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি চৌকি। যদিও ভোটের পর দুই-একদিন নির্বাচন ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে এতটা কড়াকড়ি ছিল না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবকে গত ২ জানুয়ারি চিঠির মাধ্যমে ইসিতে যাওয়ার বিষয়টি জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম, কারচুপি, গ্রেফতার, ভয়ভীতি দেখানো, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, প্রার্থীদের আটক ও প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচনী এরাকাভিত্তিক তথ্য-উপাত্তসহ একটি স্মারকলিপি দাখিলের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীরা একযোগে ৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হবেন।’
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পায় ২৬৬ আসন, বিএনপি জোট ৬ আসন, জাতীয় পার্টি ২২ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল পায় ৪ আসন। অধিকাংশ আসনেই আওয়ামী জোটের জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ১ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধান রয়েছে।
এমবিআর/এমকেএইচ