এমপিদের শপথ বৃহস্পতিবার, প্রস্তুত হচ্ছে সংসদ ভবন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের নিচতলা শপথ কক্ষে সকাল ১১টায় এ শপথ হবে।
জাতীয় সংসদের পরিচালক (গণসংযোগ-১) মো. তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের বরণ করতে নতুন সাজে সাজছে সংসদ ভবন। শপথ গ্রহণের জোর প্রস্তুতি ছাড়াও সংসদ ভবনে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। নতুন সংসদ সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদানের জন্যও প্রস্তুতি রয়েছে। সংসদ সচিবালয় ইতোমধ্যেই সংসদ সদস্যদের পরিচত্রপত্র প্রদান ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য বুথ স্থাপন করেছে। শপথ উপলক্ষে সংসদ ভবনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুরো সংসদ ভবনে চলছে ধোয়া মোছার কাজ। সংসদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মীরা শপথ কক্ষ প্রস্তুতসহ সংসদ ভবন সাজানোর কাজ করছেন। প্রায় দুই শতাধিক কর্মী কাজ করছে সংসদ ভবন নতুন করে সাজাতে।
সংসদ ভবনের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অধিশাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজে এবং পরে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন। প্রথমে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, পরে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ানো হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংসদের প্রথম অধিবেশনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো নির্বাচিত এমপি শপথ না নিলে সেই আসন শূন্য হবে। বিএনপির যে পাঁচজন নির্বাচিত হয়েছেন তারা বলছেন, যে শপথ গ্রহণ করবেন না। যদি তারা এটি না করেন তাহলে আইনী প্রক্রিয়াটা কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে নতুন সংসদের বৈঠক হবে। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে যদি কেউ শপথ গ্রহণ না করেন বা কোনো প্রকাশ রেসপন্স না করেন। তখন সংসদ সচিবালয় থেকেই এ পদটি শূন্য ঘোষণা করা হবে।
বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ হয়। এর পরদিন ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে নির্বাচিতরা। আর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা ২৫৯টি আসন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল ২০, বিএনপি ধানের শীষ ৫, গণফোরাম ২, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩টি আসনে জয় লাভ করেছে।
এইচএস/এনডিএস