‘ভোট ব্যবধান বেশি হওয়ার কারণ গবেষণা করা উচিত’
>> সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়ে তদন্ত করবে কমিশন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জয় পরাজয়ে ভোটের এত বেশি ব্যবধান গবেষণা করে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচনে জয় পরাজয়ে ভোটের ব্যবধান এত বেশি কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই কারণ আমি বলতে পারবো না, তবে এত ভোটের ব্যবধান কেন হলো, এটা নিয়ে একটা গবেষণা হতে পারে। এটা গবেষণা করে দেখা উচিত।’
নোয়াখালীতে ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে এক নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী সহিংসতায় নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে কমিশনের কাছে কী তথ্য আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে মানুষগুলো সহিংসতায় মারা গেছেন, আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিব। তারা এসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাও জানব। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকেও তদন্ত করবো।’
নির্বাচনের নানা বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে সারা দেশ থেকে মোট ৫২টি অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ অভিযোগ ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট না দিতে বাধা প্রদান, এ রকম আসছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিবকে বলা হয়েছে।’
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সহিংসতা কম হয় কি-না জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোন মৃত্যুই কাম্য না। তবে এযাবৎ যত নির্বাচন হয়েছে ১৯৯১ সাল থেকে সেগুলোর তুলনায় এবার সহিংসতার হার কম। তাই দলীয় সরকারের অধীনেও অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’
রাজধানীর গুলশান, খিলগাঁও, বনানী ও বেইলি রোডের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ট দেখা ও নিজের অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট দেখেছি, কিছু কেন্দ্রে এজেন্ট দেখিনি। গুলশানের একটি কেন্দ্রে আমি তাদের এজেন্ট পাইনি। তবে বনানী ও বেইলি রোডে তাদের এজেন্ট ছিল।
এআর/জেএইচ/এমএস