ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইভিএম ভোটে আঙুলের ছাপ না মেলায় জটিলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই আঙুলের ছাপ মিলছে না। ফলে ভোট দিতে সময় লাগছে। ভোটরদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ঢাকা-৬ আসনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

রোববার সকাল ৮টা থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, ভোটগ্রহণ চলবে বেলা ৪টা পর্যন্ত। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। আসনগুলো হলো- ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২।

ঢাকা-৬ আসনের সায়েদাবাদের স্বামীবাগের মিতালী বিদ্যাপীঠ ভোট কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার খন্দকার আবুল ওয়াহীদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। তবে আঙুলের ছাপ না মেলায় একটু সমস্যা হচ্ছে, ভোট গ্রহণ করতে বিলম্ব হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারো আঙুলের ছাপ না মিললে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা তাদের আঙুলের ছাপের সহায়তার মাধ্যমে তারা ভোট দিতে পারছেন।’

সায়েদাবাদ থেকে ভোট দিতে এসেছেন তুষার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। জানি না সামনে কী হচ্ছে। শুনতেছি আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট নিতে দেরি হচ্ছে।’

EBM.jpg

করাতীটোলা থেকে ভোট দিতে এসেছেন মো. শফিউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন যেন সামনেই এগোচ্ছে না। এখন তো রোদে দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।’

টিকাটুলীতে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ কেন্দ্রেও আঙুলের ছাপ জটিলতায় ভোট নিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এ কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে মো. মোশাররফ হোসেন নামের এক ভোটার বলেন, ‘আমার অনেকগুলো আঙুল দিয়ে চেষ্টা করার পর ছাপ মিলেছে। অনেক সময় নষ্ট হওয়ার পর অবশেষে ভোট দিতে পেরেছি।’

ঢাকা-৬ আসনে কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ইভিএমে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় জটিলতা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোটগ্রহণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। শীতের দিন হওয়া ছাড়াও নারীরা কাটাকাটি কাজ করায় মূলত তাদের আঙুলের ছাপে সমস্যা হচ্ছে। আঙুলের ছাপ যাতে মেলে সেজন্য আমরা আঙুলের জন্য জেলও সরববরাহ করছি।’

আরএমএম/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন