সহিংসতা কঠোর হস্তে দমনে পুলিশকে সিইসির নির্দেশ
নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা ও অনিয়ম কঠোর হস্তে দমনে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি জানাতে নির্বাচন কমিশন ভবনে বিফ্রিংয়ে তিনি পুলিশকে এ নির্দেশ দেন।
নির্বাচনী প্রতিযোগিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয় সেজন্য অংশগ্রহণকারী দল ও প্রার্থীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, এরমধ্যে কিছু নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
সিইসি বলেন, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে একযোগে সারাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬৩ জন রিটার্নিং অফিসার ৫৮০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও এজেন্ট নিয়োজিত রয়েছেন। ১০ কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে দুই লাখ ছয় হাজার ৭৭৭টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারাদেশে নির্বাচনী উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় কোথাও কোনো সহিংসতা হলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেছেন, কোনো প্রার্থীর এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে পুলিশ তাদের যেন হয়রানি না করে, এবং তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রার্থীর স্বার্থ বিবেচনা করে নির্বাচনের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত তারা কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। কেউ যদি তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে তারা দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা নিতে পারেন।
ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ করি; আপনার ভোট অতি মূল্যবান। কোনো ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। সকলের চেষ্টাই সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, বিগ্রে. জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
এমএইচএম/এএইচ/জেআইএম