ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গরু মোটাতাজাকরণে বিষাক্ত প্রক্রিয়া

প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিষাক্ত প্রক্রিয়ায় গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দ্রুততম সময়ে গরু মোটাতাজা করতে এ প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে।

শনিবার সকালে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ তথ্য জানান।

বক্তারা বলেন, বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড জাতীয়-ডেকাসন, ওরাডেক্সন, প্রেডিনিসোলোন, বেটনেনাল, কর্টান, অ্যাডাম-৩৩, পেরিঅ্যাকটিন ইত্যাদি অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ট্যাবলেট ও ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এ সব গরুর  মাংস খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার, হৃদপিণ্ডসহ মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া বিদ্যমান উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। যাদের রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা বিপদসীমার কাছাকাছি তাদের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এছাড়া স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ মানব শরীরে বেশী মাত্রায় জমা হলে মানুষের বিপাক ক্রিয়াতেও প্রভাব পড়ে। মানুষও মোটাতাজা হতে থাকে।

তাই নিরাপদ মাংস পেতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাধ্যমে পশু খামার এবং পশুর হাটে নিয়মিত মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা করা, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্থলবন্দরে আমদানিকৃত গরু পরীক্ষা, পশুর হাটে পশুচিকিৎসকদের টিম দ্বারা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, গরু মোটাতাজা করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিতে গরুকে মোটাতাজা করতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজা করতে বিষাক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যার ফলে তিন সপ্তাহ থেকে দুই মাসের মধ্যে গরু মোটা তাজা হচ্ছে।  

পবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. লেলিন চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, প্রফেসর ড. মো. আবু সাঈদ, পুষ্টিতত্ত্ববিদ ডা. সুমাইয়া ইসলাম, বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম, পবার নির্বাহী সদস্য শাহীন আজিজ, আবুল হাসনাত, পবার সহ-সম্পাদক মো. সেলিম প্রমুখ।

এমইউ/এএইচ/একে/এমআরআই