নদী-জলাশয় পুনঃখনন শুরু
দেশের ৬৪টি জেলার ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কামরাঙ্গীরচরে কালুনগর খাল পুনঃখননের কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে ৬১টি জেলায় এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে পানিসম্পদ সচিব বলেন, ‘এ প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের ফলে দেশব্যাপী বন্যার প্রকোপ কমে যাবে এবং একদিনের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ থেমে থাকবে না।’
২ হাজার ২৭৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল মেয়াদে ‘৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৭৫টি উপজেলার এবং দুটি সিটি কর্পোরেশনের ৮৮টি ছোট নদী, ৩৫২টি খাল এবং ৮টি জলাশয়ের ৪ হাজার ৮৭ কিলোমিটার ছোট নদী ও খাল পুনঃখনন করা হবে।
ফলে জলাশয়ের সঙ্গে খালের এবং নদীর সংযোগ পুনঃস্থাপিত হবে। এছাড়া জলাভূমি ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে এবং তাদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত হবে। নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে আনুমানিক ৫ লাখ ২০ হাজার হেক্টর এলাকায় জলাবদ্ধতা, বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখননের কারণে পানিধারণ ক্ষমতা ও নাব্যতা বাড়বে। প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার ফলে বছরে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টন ফসল উৎপাদন বাড়বে। এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার নৌ-পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখননের মাটি দিয়ে নিচু ও খাস জমির বিভিন্ন অংশ ভরাট, জলাশয় ও খালের পাড়ে বনায়ন (প্রায় ৪০৮৬.৬২ কিলোমিটার নতুন বন); উত্তোলিত মাটি দিয়ে যোগাযোগের রাস্তা, দৃষ্টিনন্দন পার্ক এবং ভূমি উন্নয়নের বিবিধ কাজ একই সঙ্গে বাস্তবায়িত হবে। অন্যদিকে ছোট নদী, খাল ও জলাশয়ে মাছ চাষ, হাঁস চাষ প্রভৃতি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। ফলে ভূমি ও পানি সম্পদের সর্বোত্তম ও সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম