ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ড. কামালের চেম্বারে হঠাৎ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বুধবার হঠাৎ করেই উপস্থিত হন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা। এ সময় তারা প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ও সংবিধান প্রণেতার সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার দেখা করতে আসবেন বলে বার্তা দিয়ে গেছেন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে উপস্থিত হয়ে এই বার্তা দেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান এবং মতিঝিল থানার ওসি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামিম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে এসে ডিএমপি কমিশনার তার (ড. কামাল) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আমাদের জানিয়ে গেছেন।

পরে ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, নরমাল ডিউটির অংশ হিসেবে আমরা এখানে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছি। তার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কোনো অবজারভেশন আছে কি না- তা জানার জন্য। এটা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
কী বিষয়ে কথা হলো? ডিএমপি কমিশনার আসার কথা ছিল- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে তার সঙ্গে আপনারা কথা বলতে পারেন। কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে ডিটেইলস কিছু বলতে পারবো না। আমি নরমাল ডিউটির অংশ হিসেবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছি। দ্যাটস অল।

কমিশনার মহোদয়ের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, আর ড. কামাল কী বলেছেন- জানতে চাইলে ডিসি আনোয়ার বলেন, ‘তার সিকিউরিটি পারপাসে কথা হয়েছে’।

ওনার (ড. কামাল) সিকিউরিটি কনসার্ন আছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি কনসার্ন হলে টেলিফোনে জানাবেন।’

উনি কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন? -জানতে চাইলে ডিসি আনোয়ার বলেন, ‘না উনি নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন এ জাতীয় তিনি বলেননি।’

southeast

নিরাপত্তার ব্যাপারে তাহলে স্বপ্রণোদিত হয়ে এসেছেন কি না -জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য স্বাভাবিক ডিউটির অংশ হিসেবেই আমরা এসেছি।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকের এক পর্যায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সিইসি কে এম নূরুল হুদার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি (সিইসি) বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার জোটের নেতাকর্মীরা নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো সেভ করতে হবে।’

এ সময় সিইসিও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলেছেন। নিজেকে কী মনে করেন?’

তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন; আমরা আজই প্রেস ক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের ঘোষণা দেব।

এ সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম তাদের সামলানোর চেষ্টা করেন। এরপর ড. কামাল সিইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

এসআই/এআর/জেইউ/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন