ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চাপে রাখার কৌশল হিসেবে অভিযোগ তোলা হচ্ছে : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে কোনো কোনো দল ও প্রার্থী অভিযোগ তুলছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কৌশল। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। দেশ ও জনগণের জন্যই আমরা কাজ করব, করছি। আশ্বস্ত করছি যে, যেসব অভিযোগগুলো সত্য সেসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানী ২৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত ক্যাথলিক চার্চ পরিদর্শন শেষে আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মহানগর এলাকায় নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে সর্বতোভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা যদি তুলনা করি, পূর্বের তুলনায় ঢাকায় সহিংসতা ও গোলযোগ খুবই কম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নগরবাসীও বাংলাদেশের সব নাগরিককে বার্তা দিতে চাই, অত্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ও সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে কাউকে যেন বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয় সেজন্য আমরা ও সশস্ত্র বাহিনী তৎপর রয়েছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।’

বারবার প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন তাদের নির্বাচনী কাজে যেতে দেয়া হচ্ছে না, বাধা দেয়া হচ্ছে ও অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে-এমন অভিযোগ সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা অভিযোগ দিতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা বিতর্ক করব না। কারণ আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমরা দেশের সংবিধান ও আইনের আলোকে করে থাকি। নানা জনের নানা ধরনের অভিযোগ করতে পারে। আমি মনে করি, এটি বিরোধীপক্ষ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনকে চাপের মুখে রাখার একটি কৌশল। কোনো কোনো দলের এটি স্ট্র্যাটেজি বলেও আমি মনে করি।’

নির্বাচনে ভোট চাওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই

নির্বাচনে ভোট চাওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ভোট চাওয়ার ব্যাপারে, ভোট ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে, এ পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে বা কেউ সম্মুখীন হয়েছে বলে আমি মনে করি না। একটি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, পেশিশক্তি যারা প্রয়োগ করতে পারে, দখলবাজ, চাঁদাবাজ যারা, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। কোনোভাবে ভোটেকেন্দ্রে বা ভোটগ্রহণের আগে ও পরে কেউ যেন জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্ন করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।’

তিনি বলেন, ‘যারা অভিযোগ করছে, তারা তাদের স্বার্থ চিন্তা করে প্রশাসনকে চাপে ফেলার জন্য মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তবে জেনুইন ২-৪টা অভিযোগও রয়েছে। সেগুলো আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের গুজব রটানো হচ্ছে। সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন সাইট, ফেইসবুক থেকে, ফেইক আইডি খুলে আমাদের সার্ভিস বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেও বিভেদ তৈরির জন্য অনেক মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে গুজব রটানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামেও মিথ্যা ফেসবুক আইডি খুলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যা অত্যন্ত আতঙ্কের বিষয়।’

গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান

সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার স্পেসে এইসব গুজব ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা সম্পর্কে সতর্ক থাকা ও আতঙ্কিত না হতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য, অনিয়ম রহিত করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার, পুলিশ, প্রশাসন ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবার মাঝে চমৎকার সমন্বয় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা টিম হিসেবে সবাই দেশের জন্য কাজ করছি। দেশের আইন ও সংবিধানের বাইরে যাবার কোনো সুযোগ নাই। বিতর্কিত করার যে অপচেষ্টা সে সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

জেইউ/আরএস/এসআর/এমকেএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন