ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইসির ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অস্বচ্ছতা

প্রকাশিত: ০৭:৩৫ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

দেশব্যাপী শুরু হওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৭৬ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে এ কাজের জন্য পর্যাপ্ত ফরম ছাপা হয়নি। পুরোনো ল্যাপটপ দিয়েই কাজ করছে ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা।
 
সূত্র জানায়, এ বছর হালনাগাদের জন্য মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৭ টাকা। এর মধ্যে ফরম, রেজিস্ট্রার ও দ্রব্যাদি মুদ্রণ, ল্যাপটপ, স্ক্যানার এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন কেনা, প্রচারণা, তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনসহ মোট ৯টি খাতে এই টাকা ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু নতুন যন্ত্রাংশ না কেনায় বরাদ্দের টাকা কোথায় ব্যয় করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়েও প্রচারণা নেই বললেই চলে।

এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুরনো যন্ত্রপাতির কারণে নিবন্ধন কার্যক্রমে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে । এক সঙ্গে অনেক যন্ত্রাংশ কিনতে হয়, সেটা করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ল্যাপটপসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়ায় ব্যাটারিগুলো বেশি সাপোর্ট দিতে পারছে না এবং ল্যাপটপের হার্ডডিস্কগুলোতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে নানা ক্রটি ও অব্যবস্থাপনার চিত্র পাওয়া গেছে। এখন ১৮ বছর হওয়ার পাশাপাশি এর নিচের বয়সীদের (১৫-১৭) তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন। তাদের টার্গেট নতুন প্রায় ৭২ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা।
 
জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা ইসির কাছে এক হাজার ফরম চেয়ে পাচ্ছেন মাত্র দুশ থেকে আড়াইশ। ফলে প্রয়োজনমতো ফরম দিতে না পারায় তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকের তোপের মুখে পড়ছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য সব ব্যক্তিদের জন্য তথ্য ফরম সরবরাহ করতে পারছেন না তারা। পর্যাপ্ত ফরম সরবরাহ না করায় এই সমস্যায় পড়ছেন তারা।  তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী তারা কমিশনের কাছে ১ হাজার ফরম চাইলে তাদের দেয়া হচ্ছে অর্ধেকের কম।
 
এদিকে প্রথম পর্যায়ে ২৫ জুলাই হালনাগাদ শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ আগস্ট। আর এ পর্যায়ের নাম নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১১ আগস্ট থেকে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে শেষ হবে আগামী ৩০ আগস্ট।

কিন্তু প্রথম পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা নাগরিকের পুরনো যন্ত্রাংশ দিয়ে নিবন্ধন করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তথ্য নিবন্ধনকারীদের। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মিরসরাই এলাকায় দুটি ল্যাপটপ অকেজো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের চিত্র প্রায় একই।

চট্টামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বাতেন আরো জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে নিবন্ধনের জন্য একদিন করে সময় দেয়া রয়েছে। ২০০৮ সালে কেনা পুরনো ল্যাপটপ দিয়ে নিবন্ধন করতে গিয়ে নানান সমস্যা হচ্ছে।  

এইচএস/এসকেডি/এমএস