ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাকিস্তান আমলে ছিল দু-চারজন, এখন দেশভরা ব্যবসায়ী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী বলতে ছিল দু-চারজন। এখন আমাদের ঘর ভরা, দেশ ভরা ব্যবসায়ী। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আপনারা বড় বড় ব্যাবসায়ী হতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, আমি ব্যবসা বুঝি না এবং ব্যবসা করিও না কিন্তু আপনাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরা বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি।

আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যাবসায়ীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহ সভাপতি সালমান এফ রহমান। অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে দেশের বিভন্ন সেক্টরে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনিসুর রহমান সিনহা, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, এ কে আজাদ, আতিকুল ইসলাম, টিপু মুন্সি, প্রকৌশলি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, রুবানা হক, আহমেদ আতবর সোবহান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুল মুক্তাদির, মাইকেল পলি, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ছুড়ে ফেলে দেই না। সেটা যত্নসহকারে ব্যাগে রাখি। সরকারে গেলে আমরা ইশতেহার দেখে দেখে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করি। বাজেটের আগে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে আমরা আমাদের ইশতেহার পাঠিয়ে দেই। ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য পরিত্যক্ত সকল কল-কারখানা জাতীয়করণ করে উৎপাদন শুরু করিয়ে দিয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। এমন কোনো সেক্টর ছিল না যেখানে তার হাতের সম্পর্শ লাগেনি। কিন্তু পঁচাত্তরে কুচক্রীদের হাতে শহীদ হওয়ার পর দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে যায়। ২১ বছর পর আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ব্যবসায়ীরা যাতে সুন্দরভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, গত নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম- ক্ষমতায় যেতে পারলে আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। আমরা ২০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেসরকারি খাতে ছিল না। কিন্তু আমরা যখন দেখলাম দেশে শিল্পায়নের জন্য এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ খুবই প্রয়োজন। এজন্য আমরা বেসরকারি সেক্টরে বিদ্যুৎ খাতকে ছেড়ে দিয়েছি। ১০, ২০, ৩০ মেগাওয়াট যে যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে তাকে সেইভাবে অনুমতি দিয়েছি।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। মূল ব্যবসা করবে বেসরকারি খাত। সরকারি খাতে ও কিছু ব্যবসা থাকবে সেটা হলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য। আমরা সেভাবেই সরকারি খাতে কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে বাকি সব ব্যবসা-বাণিজ্য বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে একজন নারী কিছু স্বর্ণালঙ্কার কিনলেও সেটাকে ভিন্ন চোখে দেখা হতো এবং পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম বাংলায় কোনো পণ্য পাঠাতে গেলেও ট্যাক্স দিতে হতো। আজ আর সে অবস্থা নেই। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উচু করে বাঁচবার দেশ।

তিনি বলেন, আমরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল করতে যাচ্ছি। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর জন্যই আমরা একাজ করছি। এসব শিল্পাঞ্চল চালু হলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

এফএইচএস/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন