অশান্তিতে শান্তিনগরের বাসিন্দারা
অশান্তিতে আছেন রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় এ এলাকার সব রাস্তাঘাট। জলাবদ্ধতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। শুক্রবার সকালে সরজমিনে শান্তিনগর এলাকা পরিদর্শনকালে জনদুর্ভোগের করুণ চিত্র চোখে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে এলাকার প্রধান সড়কসহ অনেক অলিগলির রাস্তাঘাট ডুবে যায়। জীবিকার তাগিদে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন হাটু সমান পানিতে তাদের জামাকাপড় ভিজিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে হয়েছে। জলাবদ্ধ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পানি ঢুকে মাঝপথে বিকল হয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হাত পা গুটিয়ে দোকানে অলস বসে থাকতে দেখা যায়।
শান্তিনগর হোটেল হোয়াইটি হাউজের অদূরে গলির মুখে মুসলিম বিরিয়ানি দোকানের মালিক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। জলাবদ্ধতার পানি নেমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কয়েকঘণ্টা সময় লেগে যায়। পানি ভেঙে কেউ দোকানে আসতে চায় না। এ কারণে তার ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।
গৃহবধূ শারমিন জরুরি কাজে ধানমন্ডি রওয়ানা হয়েছিলেন। তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। আগে বলা হতো নির্বাচিত মেয়র নেই তাই কাজে ঢিলেমি কিন্তু এখন তো নতুন মেয়র এসেছে তবুও কেন রাস্তায় পানি জমে আছে। রিকশা ডেকে দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকাতেই আপন মনে ভিড় ভিড় করতে করতে পানিতে নেমে হাঁটতে লাগলেন তিনি।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের কাছে বলে কি কোনো লাভ আছে। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে কতবার এলাকাবাসী মিছিল করেছে। আমাদের হয়ে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন, তারা কি করছেন?
একটি রাস্তার ফুটপাতের মুখে একভদ্রলোকের পাশে ১৩-১৪ বছরের এক কিশোরি দাঁড়িয়ে আছেন। ফুটপাতের রাস্তার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকের ফুটপাথের রাস্তার দূরত্ব সর্বোচ্চ ৫ ফুট। এ দূরত্বটুকু তারা জলাবদ্ধতার কারণে পার হতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত রিকশাওয়ালাকে ১০ টাকা দিয়ে পথটুকু পার হলেন।
তিনি জানান, মেয়েটিকে নিয়ে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে যাবেন। জামাকাপড় ভিজে গেলে অস্বস্তি লাগবে। তাই নিরুপায় হয়ে রাস্তাটুকু টাকা খরচ করে পার হলেন।
এমইউ/এসকেডি/আরএস/এমএস