শাহজালালে ‘ভিআইপি’র ব্যাগে ১৬ কেজি স্বর্ণ!
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কথিত এক ‘ভিআইপি’র ব্যাগ থেকে ১৬১টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। ১০০ গ্রাম ওজনের ১৬১টি অর্থাৎ ১৬ কেজি ১০০ গ্রাম স্বর্ণের দাম প্রায় আট কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ এলাকা থেকে স্বর্ণগুলো জব্দ করা হয়। স্বর্ণ জব্দ করা গেলেও কথিত সেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রটোকলের ‘ভিআইপি’ সিরাজকে আটক করতে পারেননি কাস্টমস কর্মকর্তা।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, স্বর্ণ চোরাচালানের গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টম হাউজের ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিম বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৮ ফ্লাইটের মাধ্যমে আগত যাত্রীর প্রটোকলের ব্যাগ নিয়ে যাবার সময় সিরাজ নামক এক ব্যক্তিকে ব্যাগের মালিক সমন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি জানান যে, তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রটোকলের ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন। তাকে ব্যাগ স্ক্যান করতে বলা হলে তিনি অসহযোগিতা করেন এবং জানান ব্যাগের মালিক একজন ভিআইপি যাত্রী এবং তিনি বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান করছেন।
যাত্রীর পাসপোর্ট দেখাতে বলা হলে সিরাজ জানান, পাসপোর্ট ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থানরত ভিআইপি যাত্রীর নিকট রয়েছে। ব্যাগ খুলে চেক করা প্রয়োজন মর্মে তাকে জানানো হয় এবং যাত্রীসহ পাসপোর্ট কাস্টমস লাউঞ্জে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি মোবাইল বের করে ফোন করতে থাকেন এবং ভিআইপি লাউঞ্জের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও তিনি ফিরে আসেননি।
পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের কাছে ব্যাগের মালিক সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, যাত্রীর নাম সাইফুল ইসলাম।
এরপর সিভিল এভিয়েশনের নিকট রক্ষিত ‘ভিআইপি পাস ইস্যু রেজিস্ট্রারে’ দেখা যায়, ভিআইপি প্রটোকল করার জন্য সিরাজ নামক এক ব্যক্তিকে ‘পাস’ প্রদান করা হয়েছে, যার পাস নং-০০২৮।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ব্যাগ দুটি খোলা হলে মোবাইল প্যাকেটের মধ্যে ১০০ গ্রাম ওজনের ১৬১টি স্বর্ণবার এবং একই সাথে ১০০টি শাউমি ব্র্যান্ডের মোবাইল উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এবং স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট, ১৯৭৪ অনুযায়ী চোরাচালানের অভিযোগে যাত্রী এবং প্রটোকলে থাকা ব্যক্তি সিরাজের নামে মামলা দায়ের করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেইউ/বিএ