স্ট্যাটাস দিয়ে ভুল করিনি : সাংবাদিক প্রবীর সিকদার
জীবনের হুমকির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনসহ আরো তিনজনকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কোনো ভুল করেন নি বলে জানিয়েছেন সদ্য মুক্তি পাওয়া সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ফেসবুকে কাউকে মানহানি করা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিন বলেন, "প্রশ্নই আসেনা! একজনের মানহানির চেয়ে আমার জীবনের শঙ্কা অনেক জরুরি। জীবনের শঙ্কার জন্য আইনের কাছে যাবো, থানা পুলিশের কাছে যাবো, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনা তখন এই শঙ্কার কথা মানুষকে জানাতে হবে, নিরুপায় হয়েই আমি ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছি।"
গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে সিকদার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু জামিনের পর তিনি দাবি করেন, তাকে দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। "আমি সে কথা আদালতে বলেছি আমি মোটেই অনুতপ্ত নই।"
রিমান্ডে না নিয়ে হঠাৎ মুক্তি পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি হয়েছে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনা ছাড়া তা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, নিজের ফেসবুক পেজে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সহ তিন ব্যক্তিকে দায়ী করে জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। এর প্রেক্ষিতে সোমবার গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে ফরিদপুরের এক আইনজীবীর করা মানহানির মামলায় তাকে ফরিদপুরে জেল হাজতে নেয়া হয়। মঙ্গলবার ফরিদপুরের আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু পরদিনই জিজ্ঞাসাবাদ না করেই পুলিশ তাকে আবারো আদালতে নিলে, বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে দায়ী করে স্ট্যাটাস দেয়ার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে এই বিষয়ের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
এসকেডি/এমআরআই