অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ৩৯ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত
দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ৩৪টি জেলার ৩৯ হাজার ১০২ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পরে কমিটি ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়ার সুপারিশ করেছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার বিএডিসির গুদাম থেকে সার উধাও বিষয়ে গঠিত ১নং সাব-কমিটি উপস্থাপিত তদন্ত প্রতিবেদন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা অঙ্গ, কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচি শীর্ষক প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম এবং সাম্প্রতিক দেশব্যাপী অতিবৃষ্টিজনিত কারণে ও বন্যায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও মন্ত্রণালয়ের গৃহীত ব্যবস্থার উপর আলোচনা হয়। কমিটি ১নং সাব-কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিএডিসি’র উন্নয়নের সার্থে জরুরি ভিত্তিতে জনবল সংকট নিরসন, জেলা-উপজেলায় বিএডিসির সকল দফতরে সার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন বছর অধিক হলে বদলির ব্যবস্থা করা, ভৈরব গুদামে সারের ঘাটতির টাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট থেকে আদায় করা এবং জেলা সার মনিটরিং কমিটি ও উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
এছাড়া বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা অঙ্গ, কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচি শীর্ষক প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের উপর একটি সার-সংক্ষেপ তৈরি করে কমিটির সব সদস্যদের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান, এ, কে, এম, রেজাউল করিম তানসেন, নুরুল ইসলাম ওমর এবং অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/আরএস/পিআর